ধর্ষণ প্রতিরোধক অন্তর্বাস তৈরি করেছেন ভারতীয় প্রকৌশলীরা -
ধর্ষণ প্রতিরোধে সক্ষম এক ইলেকট্রিক ব্রা বা বক্ষবন্ধনী তৈরি করেছেন একদল ভারতীয় প্রকৌশলী। এই অন্তর্বাস ধর্ষককে দেহ পুড়িয়ে দিতে সক্ষম। তবে কবে নাগাদ এটি বাজারে পাওয়া যাবে তা এখনো জানা যায়নি।
এক মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ এবং হত্যার খবর গোটা ভারতবাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ২০১২ সালের ডিসেম্বরের সেই ঘটনার পর ধর্ষণ বিষয়ক আইনেও পরিবর্তন আনতে বাধ্য হন ভারতের আইনপ্রণেতারা। ধর্ষণের সেই ঘটনা মনীষা মোহনকেও নাড়িয়ে দিয়েছিল। তিনি তখন অপ্রচলিত এক ধর্ষক প্রতিরোধক পদ্ধতি তৈরির কথা চিন্তা করেন। এ জন্য বেছে নেন ব্রা বা বক্ষবন্ধনীকে।
২২ বছর বয়সি এই শিক্ষার্থী আরো দুই সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে একাধিক সমীক্ষা পরিচালনা করেন। এরপর তাঁরা ইলেকট্রিক ব্রা তৈরি করেন যা ধর্ষককে আঘাতে সক্ষম। মূল ধারণাটা হচ্ছে, মেয়েদের স্তনের উপর একটি নির্দিষ্ট মাত্রার চাপ তৈরি হলে ৩,৮০০ কিলো-ভোল্ট সমপরিমাণ বৈদ্যুতিক শক সৃষ্টি হবে। এতে আক্রমণকারী মারাত্মকভাবে আহত হবে। একইসঙ্গে একটি জিপিএস সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ঘটনা পুলিশকে জানিয়ে দেবে।
ইলেকট্রিক ব্রা-য় ব্যবহৃত এই প্রযুক্তি কঠিন কিছু নয়। আর কাউকে সাধারণভাবে জড়িয়ে ধরলে যে চাপ সৃষ্টি হয়, তাতে পদ্ধতিটি সক্রিয় হবে না। বরং স্তনে শক্তভাবে চাপ দিলে কিংবা চিমটি কাটলে সেটি সক্রিয় হবে। আর এই পদ্ধতি সক্রিয় করার একটি বোতাম রয়েছে। ফলে পরিধানকারী নারী নিজের প্রয়োজনমতো সেটি চালু বা বন্ধ করতে পারবেন।
ইলেকট্রিক ব্রা-য় ব্যবহৃত এই প্রযুক্তি কঠিন কিছু নয়। আর কাউকে সাধারণভাবে জড়িয়ে ধরলে যে চাপ সৃষ্টি হয়, তাতে পদ্ধতিটি সক্রিয় হবে না। বরং স্তনে শক্তভাবে চাপ দিলে কিংবা চিমটি কাটলে সেটি সক্রিয় হবে। আর এই পদ্ধতি সক্রিয় করার একটি বোতাম রয়েছে। ফলে পরিধানকারী নারী নিজের প্রয়োজনমতো সেটি চালু বা বন্ধ করতে পারবেন।
নিরাপদ এবং আরামদায়ক
পরীক্ষামূলকভাবে যারা এই ব্রা পরেছেন, তারা মনে করছেন এটি নিরাপদ এবং আরামদায়ক। নতুন দিল্লীর কলেজ শিক্ষার্থী রেবতী এই বিষয়ে বলেন, ‘‘ আমি মনে করি মেয়েরা কিংবা নারীদের জন্য এই ব্রা অত্যন্ত সহায়ক হবে। কেননা এটি পরে তারা রাতের বেলায়ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রাস্তায় বের হতে পারবে।”
মনীষাও মনে করেন, এই ব্রা আরামদায়ক হবে। আর মেয়েদের এ ক্ষেত্রে কোন ক্ষতি হবার আশঙ্কা নেই বলেই দাবি করেন তিনি। কেননা বক্ষবন্ধনীতে এমনভাবে ইলেকট্রনিক উপকরণ রাখা আছে যাতে সেটি পরিধানকারীর দেহে কোনোভাবে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে না পারে। এজন্য পানি রোধক একটি লেয়ার বা স্তরও ব্যবহার করা হয়েছে।
মনীষার এই উদ্ভাবনের স্বীকৃতিও মিলেছে। ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায় আয়োজিত ‘ইনোভেশন স্কলারদের’ নিয়ে ২০ দিনব্যাপী প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার সুযোগ পান তিনি। এই প্রোগ্রামে উদ্ভোবকরা তাদের নিত্য নতুন বিভিন্ন আবিষ্কার প্রদর্শনের সুযোগ পান।
প্রসঙ্গত, ভারতে নারী নির্যাতনের হার ক্রমশ বাড়ছে৷ জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৩ সালে ভারতে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের ৩০৯,৫৪৬টি ঘটনা পুলিশ নথিভুক্ত করেছে। ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৪৪,২৭০টি।
ইলেকট্রিক ব্রা হয়ত সামগ্রিকভাবে ভারতীয় নারীকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হবে না। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা সহসাই এটির সুবিধা পাবেন না। তবে নতুন এই উদ্ভাবন ভারতীয় নারীকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস এনে দেবে বলেই মনে করছেন উদ্ভাবকরা। ইলেকট্রিক ব্রা বাণিজ্যিকভাবে কবে নাগাদ বাজারে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে অবশ্য নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেননি মনীষা। তিনি আশা করছেন, শীঘ্রই এটি মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে। ডয়েচে ভেলে
- See more at: http://www.moralnews24.com/?p=5408#sthash.bqJ7ntYr.dpufSubscribe by Email
Follow Updates Articles from This Blog via Email
No Comments