Wednesday, August 6, 2014

thumbnail

সুখের সন্ধান পেতে পোপ ফ্রান্সিসের ১০টি টিপস

সুখের সন্ধান পেতে পোপ ফ্রান্সিসের ১০টি টিপস

লাইফস্টাইল ডেস্ক: সুখের রেসিপি দিলেন পোপ ফ্রান্সিস। সুখী-সমৃদ্ধ জীবন গড়তে খ্রিস্টানদের ওই ধর্মগুরু এ সপ্তাহে নানা উপদেশ দিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে। আর্জেন্টিনার সাপ্তাহিক ‘ভিভা’-তে প্রকাশিত হয়েছে তা। পোপ তার নিজের জীবনযাপন এবং অভিজ্ঞতা থেকে সুখের সন্ধান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সবাইকে। ক্যাথলিক নিউজ সার্ভিস তার গোটা সাক্ষাৎকারের অনুবাদ করেছে। এখানে দেখে নিন পোপ ফ্রান্সিসের দেওয়া সুখে থাকার সেরা ১০টি উপদেশ।
১. বাঁচুন এবং বাঁচতে দিন। প্রত্যেকের নীতি দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। সামনে এগিয়ে যাও এবং অন্যকেও তা করতে দাও।
২. মানুষকে একে অপরের প্রতি উদার ও দয়াশীল হতে হবে। অন্যের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করো। আত্ম উপলব্ধি উঠে গেলে অহংবোধ জড়িয়ে ফেলবে তোমাকে এবং স্থির ও পবিত্র পানি হয়ে যাবে নোংরা।
৩. ধীরস্থিরভাবে ক্রিয়াশীল হও। একটি হাই স্কুলে সাহিত্যের ক্লাস নিতেই এই পোপ। তিনি আর্জেন্টিনার ঔপন্যাসিক রিকার্ডো গুইরালডেস এর একটি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ডন সেগুনদো সমব্রার জীবনযাপন দেখতে বলতেন সবাইকে।
৪. ধারণাপ্রসূত তথ্য আমাদের মাঝে দুশ্চিন্তা বয়ে নিয়ে আসে। তাই স্বাস্থ্যকর অবসরের জন্য অভিভাবকদের সময় বাঁচিয়ে রাখতে বলেছেন সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য। সেই সঙ্গে খাবার গ্রহণের সময় অবশ্যই টেলিভিশন বন্ধ রাখতে বলেছেন।
image_112559.pope francis
৫. রবিবার ছুটির দিন হওয়া উচিত। কারণ সপ্তাহের এই দিনটি পরিবারের জন্য এবং পরিবারের সঙ্গেই কাটানো উচিত।
৬. তরুণ সমাজের জন্য মহৎ কাজের ব্যবস্থা করতে উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন পোপ। তিনি বলেন, তরুণ সমাজের প্রতি আরো সৃষ্টিশীল হওয়া প্রয়োজন আমাদের। মাদক নেওয়ার মতো কোনো কারণ যদি তারা খুঁজে না পায় তবে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটবে না।
৭. প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখাও ও তার যত্ন করো। প্রকৃতির বিশৃঙ্খলতা রোধ আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। প্রকৃতির সঙ্গে ধ্বংসাত্মক আচরণ করে মানব জাতি আসলে আত্মহত্যার পথ পরিষ্কার করছে।
৮. নেতিবাচক হয়ো না। অন্যের বিষয়ে নেতিবাচক কিছু বলা নিজের আত্মবিশ্বাসের অভাব প্রকাশ করে।
৯. ধর্মান্তরিত হয়ো না। অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখো। আমরা অন্যের সঙ্গে অন্তরঙ্গতার মাধ্যমে যোগযোগ বাড়াতে পারি। প্রত্যেক মানুষের কথা-বার্তা তার পরিবার ও নিজস্ব পরিচয় প্রকাশ করে।
১০. সুখের জন্য কাজ করুন। আমরা এখন বহু যুদ্ধপূর্ণ সময় অতিবাহিত করছি। শান্তির জন্য চিৎকার করে আহ্বান জানাতে হবে। মাঝে মধ্যে নিশ্চুপ থাকার মধ্যেই শান্তির বাণী প্রচারিত হয়। শান্তির পথ সব সময়ই দারুণ উপভোগ্য।



Related Posts :

Subscribe by Email

Follow Updates Articles from This Blog via Email

No Comments

About