হামিন আহমেদ-আইয়ুব বাচ্চু
যেভাবে মিললেন
হামিন আহমেদ: হ্যালো
আইয়ুব বাচ্চু: জি টোকন ভাই (হামিন আহমেদের ডাকনাম)
হামিন আহমেদ: কেমন আছ তুমি?
আইয়ুব বাচ্চু: আমি ভালো। কিন্তু আপনি আমাকে তুমি করে বলছেন কেন? আপনি তো আমাকে তুই বলে ডাকেন!
হামিন আহমেদ: তা ঠিক আছে। নাহ মানে... তুই মিটিংয়ে আসিস
আইয়ুব বাচ্চু: জি টোকন ভাই
আইয়ুব বাচ্চু: জি টোকন ভাই (হামিন আহমেদের ডাকনাম)
হামিন আহমেদ: কেমন আছ তুমি?
আইয়ুব বাচ্চু: আমি ভালো। কিন্তু আপনি আমাকে তুমি করে বলছেন কেন? আপনি তো আমাকে তুই বলে ডাকেন!
হামিন আহমেদ: তা ঠিক আছে। নাহ মানে... তুই মিটিংয়ে আসিস
আইয়ুব বাচ্চু: জি টোকন ভাই
মাস তিনেক আগের টেলিফোন আলাপ এটি।যা তার কয়েক দিন আগেও ছিল কল্পনাতীত।এ দুজনের মধ্যে ফোনালাপ হওয়ার মতো অবস্থা তখন ছিল না। তখন ভুল বোঝাবুঝি চলছিল দুজনের মধ্যে। ছোট্ট একটি ঘটনাই তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছিল। গত ১২ মার্চ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার কথা ছিল মাইলস ব্যান্ডেরও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো এক কারণে মঞ্চে উঠতে পারেনি মাইলস। এ নিয়ে মাইলস ও এলআরবি ব্যান্ডের সদস্যরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। দুই ব্যান্ডের অন্যতম দুই সদস্য হামিন আহমেদ ও আইয়ুব বাচ্চুর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিরও শুরু হয়। এর একপর্যায়ে বামবা থেকে অব্যাহতি চান আইয়ুব বাচ্চুর নেতৃত্বে এলআরবি। অবশেষে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। বিষয়টি সবার নজরে আসে যমুনা-বামবা আয়োজিত তিন দিনের রক উৎসবের সমাপনী দিনে।
জানা গেছে, সমস্যার সমাধানে ঘটনার দেড় মাসের মাথায় ফোয়াদ নাসের বাবুর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বামবা। কমিটি তাঁদের দুজনকে এক করার উদ্যোগ নেয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইয়ুব বাচ্চুকে ফোন করেন বামবা সভাপতি হামিন আহমেদ। তারপর তাঁরা দুজন একসঙ্গে বসেন। কথাবার্তার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটান। দুজন দুজনের কাছে ভুল স্বীকার এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।
হামিন আহমেদ বলেন, ‘বামবা এক সুতায় গাঁথা। এখানে সবাই এক পরিবারের সদস্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় যে ঘটনা ঘটেছিল সেটার ওপর আমাদের কারোরই কোনো হাত ছিল না। এটা ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া কিছু না। এটা সত্যিই একটা দুর্ঘটনা। বামবা এমন একটা সংগঠন, যা তাদের মধ্যকার বৈরী সম্পর্ক বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয় না। তাই বামবার সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি বাচ্চুকে ফোন করি। তারপর আমরা দুজন একসঙ্গে বসি। যেহেতু আবেগের বশবর্তী হয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম, তাই বড় ভাই হিসেবে বাচ্চুকে স্যরি বলেছি। বাচ্চুও ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টি স্বীকার করে এবং স্যরি বলে। এভাবেই আমাদের নিজেদের মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।’
আইয়ুব বাচ্চু বলেন, ‘টোকন ভাই বয়সে আমার বড়, তিনি বামবার সভাপতিও—সব মিলিয়ে তিনি আমার কাছে সম্মানীয় ব্যক্তি। ভুল বোঝাবুঝি মানুষে-মানুষেই হয়। এটা নিয়ে বরং বাইরের মানুষ বেশি আগ্রহী ছিল। ভাইয়ে ভাইয়ে কীভাবে আরও বেশি দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাও কেউ কেউ করেছেন। আমি অভিমান করে একটি কথাও বলিনি তাঁর সম্মানার্থে। কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা আত্মিক সম্পর্ক সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে। আমাদেরকে একসঙ্গে বাঁচতে হবে, বিপদে-আপদে একে অপরের সঙ্গে থাকতে হবে। যত দিন গান-বাজনা করব, টোকন ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটা আমার তরফ থেকে আজীবন থাকবে। তিনি যখন আমাকে হুকুম দিলেন, বাড়ি ফিরে আয়, তোর অব্যাহতি পত্র আমরা গ্রহণ করিনি। তখন আমি বামবায় ফিরে গেলাম। তারপর থেকে আমার যা যা করণীয় আমি তা করেছি। মিউজিক যত দিন করব, তত দিন আমরা একসঙ্গে থাকব। আমাদের এই বন্ধন কেউ চাইলেও ছিন্ন করতে পারবে না।’
হামিন আহমেদ বলেন, ‘বামবা এক সুতায় গাঁথা। এখানে সবাই এক পরিবারের সদস্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় যে ঘটনা ঘটেছিল সেটার ওপর আমাদের কারোরই কোনো হাত ছিল না। এটা ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া কিছু না। এটা সত্যিই একটা দুর্ঘটনা। বামবা এমন একটা সংগঠন, যা তাদের মধ্যকার বৈরী সম্পর্ক বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয় না। তাই বামবার সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি বাচ্চুকে ফোন করি। তারপর আমরা দুজন একসঙ্গে বসি। যেহেতু আবেগের বশবর্তী হয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম, তাই বড় ভাই হিসেবে বাচ্চুকে স্যরি বলেছি। বাচ্চুও ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টি স্বীকার করে এবং স্যরি বলে। এভাবেই আমাদের নিজেদের মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।’
আইয়ুব বাচ্চু বলেন, ‘টোকন ভাই বয়সে আমার বড়, তিনি বামবার সভাপতিও—সব মিলিয়ে তিনি আমার কাছে সম্মানীয় ব্যক্তি। ভুল বোঝাবুঝি মানুষে-মানুষেই হয়। এটা নিয়ে বরং বাইরের মানুষ বেশি আগ্রহী ছিল। ভাইয়ে ভাইয়ে কীভাবে আরও বেশি দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাও কেউ কেউ করেছেন। আমি অভিমান করে একটি কথাও বলিনি তাঁর সম্মানার্থে। কিন্তু আমাদের মধ্যে একটা আত্মিক সম্পর্ক সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে। আমাদেরকে একসঙ্গে বাঁচতে হবে, বিপদে-আপদে একে অপরের সঙ্গে থাকতে হবে। যত দিন গান-বাজনা করব, টোকন ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটা আমার তরফ থেকে আজীবন থাকবে। তিনি যখন আমাকে হুকুম দিলেন, বাড়ি ফিরে আয়, তোর অব্যাহতি পত্র আমরা গ্রহণ করিনি। তখন আমি বামবায় ফিরে গেলাম। তারপর থেকে আমার যা যা করণীয় আমি তা করেছি। মিউজিক যত দিন করব, তত দিন আমরা একসঙ্গে থাকব। আমাদের এই বন্ধন কেউ চাইলেও ছিন্ন করতে পারবে না।’
Subscribe by Email
Follow Updates Articles from This Blog via Email
No Comments